[email protected] শনিবার, ৭ই ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩শে অগ্রহায়ণ ১৪৩১

নিহত জিশানের পরিবারের পাশে জাপান-বাংলাদেশ প্রিন্টিং এন্ড পেপারস লিঃ

মর্নিং টাইমস ডেস্ক

প্রকাশিত:
৩১ আগষ্ট ২০২৪, ১৮:২৩

আবু বকর সিদ্দিক, মর্নিং টাইমস

নারায়ণগঞ্জের রুপগঞ্জে কোটা আন্দোলন থেকে বাড়িতে ফেরার সময় হামলার শিকার হয়ে নিহত ছাত্র জিসানের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছেন জাপান-বাংলাদেশ প্রিন্টিং এন্ড পেপার লিঃ।

শুক্রবার (৩০ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার মাসুমাবাদ এলাকায় নিহতের পরিবারের সাথে দেখা করেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান সেলিম প্রধান। এসময় তার সাথে উপস্থিত ছিলো সেলিম প্রধানের ব্যাবসায়িক বন্ধু কোরিয়ান নাগরিক জিনাহ। এসময় তারা নিহত ছাত্র জিসানের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন। এর আগে জিনাহ ও সেলিম প্রধান জিসানের বাবার কাছে তার হত্যাকান্ডের ঘটনা শোনেন।

পরে সহায়তা প্রদান শেষে জিনাহ ও সেলিম প্রধান সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন। এসময় সেলিম প্রধান বলেন, আওয়ামিলীগ সরকার আমাকে বিনা অপরাধে চার বছর জেল খাটিয়েছে। আমাকে মিথ্যে মামলায় ফাসিয়েছে। আমার পরিবার সেই সময়ে দুঃসহ জীবন পাড় করেছে। আমার সেই সময়ের কথা গুলো মনে হলে এখনো আঁতকে উঠি। তাই আমি যেকোন বিপদগ্রস্ত পরিবারের পাশে দাড়ানোর চেষ্টা করি। গত দশ মাস ধরে আমি একটি যুদ্ধ শুরু করেছি। রুপগঞ্জকে সন্ত্রাস, ভূমিদস্যু ও মাদকমুক্ত করার যুদ্ধ। এই যুদ্ধে জয়ী হওয়া কষ্টকর। তবে নতুন বাংলাদেশে চাইলে সেটা সম্ভব। আমি সেই চেষ্টাটাই করছি। আমার এ চেষ্টায় সকল শ্রেণী পেশার মানুষদের আমি পাশে চাই।

অপর এক বক্তব্যে সেলিম প্রধানের ব্যাবসায়িক বন্ধু জিনাহ বলেন, ছাত্র আন্দোলনের সময় আমি ঢাকাতেই ছিলাম। আমি দেখেছি কিভাবে ছাত্রদের ওপর গুলি চালানো হয়েছে। কতো ছাত্র-জনতা সেই সময় মারা গেছে। সেই সময়কার ঘটনাগুলো আমাকে অনেক মানসিক যন্ত্রণা দিয়েছে। আমি ভিনদেশী না হলে সেই আন্দোলনে অংশ নিতাম। আমার বন্ধু সেলিমের মাধ্যমে জানতে পারি রুপগঞ্জেও অনেকে মারা গেছে এবং আহত হয়েছে। তাই এখানে এসেছি। চেষ্টা করেছি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে দাড়াতে। আমার যায়গা থেকে আমি আরো চেষ্টা করবো। প্রয়োজনে আমি আমার দেশের সরকারের সাথে কথা বলবো। যারা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত হয়েছেন তাদের পরিবারকে কিছু একটা ব্যবস্থা করার জন্য কুরিয়ার সরকারের কাছে আবেদন জানাবো। আশা করি কিছু একটা ব্যবস্থা হবে।


এ সময় জিসানের বাবা আলমগীর মোল্লা বলেন, আমার ছেলে জিসান বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিয়মিত আন্দোলনে ছিলেন। ধনিয়া9 বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। আর ছাত্র আন্দোলনে যাওয়াকে কেন্দ্র করেই গত ৩০ জুলাই রাতে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা জিসানকে হত্যা করে।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর