[email protected] শনিবার, ১৮ই মে ২০২৪, ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

২১ গ্রেনেড হামলা

অপরাধীদের বিচারের দাবিতে রাবিতে অবস্থান কর্মসূচি

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাবি

প্রকাশিত:
২২ আগষ্ট ২০২৩, ০১:০০

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় জড়িতদের বিচারের রায় কার্যকর দাবিতে রাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়। ছবি-প্রতিনিধি

২১ আগস্ট ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় জড়িত থাকা অপরাধীদের বিচারের রায় কার্যকর করার দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়। সোমবার (২১ আগস্ট) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবন সংলগ্ন প্যারিস রোডে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. এ এইচ এম কামরুল আহসানের সঞ্চলনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. হাসিবুল আলম প্রধান বলেন, এই আগস্ট মাসেই ইতিহাসের চরমনির্মমতাগুলো সংগঠিত হয়েছে। ১৫ আগস্ট ও ২১ আগস্ট একই সূত্রে গাঁথা।

এ মাসে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করার জন্য ইতিহাসের সবথেকে জঘন্য হত্যাকান্ড গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিল। এ হামলায় জীবন দিতে হয়েছে আওয়ামী লীগের অসংখ্য নেতাকর্মীকে। সৃষ্টিকর্তার বিশেষ কৃপায় বেঁচে গিয়েছিল আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ কর্মকান্ডে জড়িত তারেক রহমানসহ সকলকে দ্রুত বিচারের দাবি জানান তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, দেশকে মেধা ও নেতৃত্ব শূন্য করতে তৎকালীন মৌলবাদী জামায়াত-বিএনপির জোট সরকার যে নারকীয় গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিল সে ঘটনায় ২৪ জনকে প্রাণ দিতে হয়েছে। দেশকে পাকিস্তানি পন্থায় পরিচালনা করতে এই হত্যাকান্ড চালানো হয়।

গ্রেনেড হামলায় যারা আহত হয়েছিলো তাদেরকে চিকিৎসা সেবাও নিতে দেওয়া হয়নি যেন তারা রাস্তায় মারা যায়। এ ছিলো তৎকালীন জোট সরকারের ঘৃণ্য রাজনীতি। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় পরিণত হয়েছে। দেশে যখনি নির্বাচন আসে তখন বিএনপি সরকারের অপপ্রচার আরও বেগবান হয়।

আওয়ামী লীগ ক্ষমতা আসলে আজানের ধ্বনি শুনা যাবে না এমন সব মিথ্যাচার চালানো হয়। বাংলাদেশে থাকতে হলে দেশের সংবিধান মেনে চলতে হবে। এসময় সকলকে বিচারের কাঠগড়ায় আনতে সরকারের কাছে আহ্বান জানান তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম  সাব্বির সাত্তার বলেন, ২০০৪ সালে দেশের মানুষ যখন শেখ হাসিনার উপর বিশ্বাস করতে শুরু করেছিলেন তখনি এই নারকীয় হত্যাকান্ড গ্রেনেড হামলা চালায় মৌলবাদী বিএনপি সরকার। শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর শেখানো পথ দিয়েই  হাঁটছেন। ১৫ আগস্ট ও ২১ আগস্ট আল্লাহ নিজে শেখ হাসিনাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন।

তাঁকে দিয়ে ভালো কাজ হচ্ছে এবং হবে এজন্যই তিনি বেঁচে আছেন। জনগণের হৃদয়ের উত্তাপ থেকে আওয়ামী লীগের জন্ম। ২১ আগস্টে শেখ হাসিনাকে রক্ষা করেছিলো নেতাকর্মীরা এখন রক্ষা করবে দেশের জনগন। এসময় ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলাকারীদের দ্রুত শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানান তিনি।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের আহবায়ক আব্দুল্লাহ আল-মামুন বলেন, মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের ভর্তি ভাইভাতে তাদেরকে জিজ্ঞাসা করা হলে সাঈদীর সাথে অন্যায় করা হয়েছে এমনটাই জানান তারা। বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতি থাকাটা খুবই দরকার। কারণ ছাত্র রাজনীতিতে সচেতন হয়ে দেশকেই তারা নেতৃত্ব দিবে। এসময় এ অবস্থান কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করা সকলকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

এসময় আরও বক্তব্য রাখেন আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সাদিকুল ইসলাম সাগর, প্রানরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম, বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক পুরণঞ্জিত মহালদার,এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য চৌধুরী মো. জাকারিয়া, ছাত্র উপদেষ্টা ড. জাহাঙ্গীর আলম সাউদ, প্রক্টর আসাবুল হকসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের প্রায় শতাধিক শিক্ষক-কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

 

বাংলা গেজেট/এফএস


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর