[email protected] রবিবার, ৫ই মে ২০২৪, ২২শে বৈশাখ ১৪৩১

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি নিয়ে আসছে নতুন সিদ্ধান্ত

মর্নিং টাইমস

প্রকাশিত:
২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৪১

ছবি সংগৃহীত

আবহাওয়া পরিস্থিতি বিবেচনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন নাহার।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।

শামসুন নাহার বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা বা বন্ধের বিষয়ে আবহাওয়া পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে তারপরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এক্ষেত্রে আগামীকাল শুক্রবার বা শনিবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এর আগে গত ২০ এপ্রিল প্রচণ্ড গরমের কারণে দেশের সব স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসায় সাত দিনের ছুটি ঘোষণা করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। রোজার ঈদ ও পহেলা বৈশাখের টানা ছুটি শেষে গত ২১ এপ্রিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা ছিল। এই ছুটির ফলে আগামী ২৮ এপ্রিল খোলার কথা রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। তবে দেশে চলমান তীব্র তাপপ্রবাহ এখনো কমেনি, ফলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি আরও বাড়তে পারে।

গত ২১ এপ্রিল স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি বাড়ানোর ইঙ্গিত দেন। সেসময়ে তিনি বলেন, তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি বুঝে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ানো হবে। কারণ আমরা বাচ্চাদের ঝুঁকির মধ্যে ফেলব না।

সেইসঙ্গে বাচ্চা ও বয়স্কদের প্রয়োজন ছাড়া বাসার বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ দেন ডা. সামন্ত লাল সেন। এ ছাড়া হাসপাতালগুলোকে প্রতিকূল পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।

এদিকে দেশে তৃতীয় দফায় আরও তিনদিনের হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সংস্থাটি বলছে, দেশজুড়ে চলমান তাপমাত্রার পারদে খুব একটা হেরফের হবে না। বাতাসে জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বাড়তে পারে। এতে প্রচণ্ড দাবদাহে মানুষ, পশুপাখির নাকাল অবস্থা এখনই শেষ হচ্ছে না। ফলে চলমান হিট অ্যালার্ট (তাপপ্রবাহ) আরও তিন দিন বাড়ানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা বা তিনদিন হিট অ্যালার্ট অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

বলা হয়েছে, আপাতত বড় পরিসরে বৃষ্টি হয়ে তাপপ্রবাহ দূর হওয়ার সম্ভাবনা নেই। ফলে আগের জারি করা তিন দিনের হিট অ্যালার্ট শেষ হয়েছে গতকাল বুধবার। আজ থেকে আরও তিনদিনের হিট অ্যালার্ট জারি করা হলো।

আবহাওয়া অফিস বলছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত যথেষ্ট নয়, প্রয়োজন বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে বৃষ্টি। আগামী মে মাসে বৃষ্টিপাত বাড়লে দাবদাহ অবস্থার কিছুটা পরিবর্তন হতে পারে বলে ধারণা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর